Share this

“বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ”

১২.০২.২০২৪

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ-এর সাথে আজ সচিবালয়ে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মহাপরিচালক তাকেও কনিশি (Takeo Konishi)  সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।


আলোচনাকালে এডিবির মহাপরিচালক এনার্জি ট্রাঞ্জিশনে বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণ বাড়ানো, ইলেক্ট্রিক ভেহিক্যাল, জ্বালানি দক্ষতা ও সোলার ইরিগেশনে রোডম্যাপ বাস্তাবায়নে অর্থায়ন, আঞ্চলিক আন্ত:সংযোগ ও প্রকল্পের রেডিনেস নিয়ে আলোচনা করেন। 

 

“বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ”

 


প্রতিমন্ত্রী, এডিবির মহাপরিচালককে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের এডিবি সাহায্যপুষ্ঠ প্রকল্পের সংখ্যা আরো বাড়ানো উচিত। পাওয়ার মার্কেট তৈরি করতে এডিবি সাহায্য করতে পারে। যার মাধ্যমে প্রয়োজনমতো বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। শীতকালে নেপাল বা ভূটানে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা যেতে পারে। তাছাড়া ভবিষ্যতে আমাদের প্রায় ৯০০০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। জ্বালানির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করার জন্য একজন ভালো পরামর্শক প্রয়োজন। এডিবি এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারে। আমাদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি  ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সরকারের ভর্তুকী কমাতে বন্ড ইস্যু করা হচ্ছে। ১৩ লক্ষ ডিজেল পাম্প সোলার পাম্পে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রযুক্তির প্রসার ও কমন ডাটা সেন্টার নির্মাণে একযোগে কাজ করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। 


উল্লেখ্য যে বিদ্যুৎ খাতে ৭টি প্রকল্পে ২.৫৭ বিলিয়ন ডলার এডিবির অর্থায়ন রয়েছে। ২০২৩ সালে ৩৬০ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ২টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে এডিবির অর্থায়নে ৩টি প্রকল্প চলমান এবং ৫টি প্রকল্প প্রস্তাবিত আকারে রয়েছে। 


এ সময় অন্যান্যের মাঝে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইডিমন গিনটিং (Edimon Ginting)  উপস্থিত ছিলেন।