Share this

প্রাতিষ্ঠানিক এবং নীতি সংক্রান্ত কাঠামো

অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি-প্রকৃতিতে সরকারি নীতির তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্টতার জন্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এটি প্রয়োজনীয় উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। জ্বালানির প্রচলিত এবং বিকল্প উৎসের উন্নয়নের মাধ্যমে বিদ্যুতায়নের উদ্দেশ্যাবলী অর্জন করতে নিম্নলিখিত নীতি এবং আইন-কানুন গ্রহণ করা হয়েছে:

 

  1. বিদ্যুৎ আইন, ১৯১০
  2. বিদ্যুৎ বিধিমালা, ১৯৩৭
  3. বিদ্যুৎ বিধান, ১৯৬১
  4. জাতীয় জ্বালানি নীতি, ১৯৯৬
  5. বাংলাদেশ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতি, ১৯৯৬
  6. বেসরকারি খাতে ক্ষুদ্র বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নীতি সংক্রান্ত নির্দেশনা, ১৯৯৬
  7. বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন আইন, ২০০৩
  8. ক্যাপ্টিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য নীতি সংক্রান্ত নির্দেশনা, ২০০৭
  9. সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের জন্য নীতি সংক্রান্ত নির্দেশনা
  10. প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা (আরপিএসএস) এর জন্য নির্দেশনা, ২০০৮
  11. বিদ্যুৎ খাতে বেসরকারি অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য নীতি সংক্রান্ত নির্দেশনা, ২০০৮
  12. নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা, ২০০৮
  13. বাংলাদেশ বেসরকারি খাত অবকাঠামো নির্দেশনা
  14. টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১২
  15. জ্বালানি দক্ষতা এবং সংরক্ষণ বিধিমালা, ২০১৫

স্রেডা আইন মোতাবেক সরকারি এবং বেসরকারি খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি কার্যকারিতা কর্মকান্ড উন্নয়নের জন্য সরকারের একটি প্রতিশ্রুতিশীল সংস্থা হিসেবে স্রেডাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি দক্ষতা সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখভাল করার জন্য স্রেডার পাশাপাশি বিভিন্ন বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্ট সংস্থায় সমন্বয়কারী সেল/উইং খোলা হয়েছে।

 

বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০০৮ প্রণয়ন করা হয়। এই নীতি অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস হতে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে উৎপাদন করতে হবে যাহা প্রায় ২০০০ মেগাওয়াট এর সমান।